“বর্তমানের কবি আমি ভাই ভবিষ্যতের নই ‘নবি’... ...পরোয়া করি না, বাঁচি বা না বাঁচি যুগের হুজুগ কেটে গেলে।” – আমার কৈফিয়ত/কাজী নজরুল ইসলাম সাহিত্যের ভাষাশৈলী, গঠন, পটভূমি প্রভৃতি কতিপয় বৈশিষ্ট্য সাহিত্যিকের উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল। অপরদিকে, সাহিত্যের পাঠকপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা এবং সে সংক্রান্ত আলোচনা, সমালোচনা এ সবকিছুই খোদ সাহিত্যিকের এক্তিয়ার-নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এরকমই এক বৈশিষ্ট্য সাহিত্যের স্থায়িত্বগুণ। অর্থাৎ কোনো সাহিত্যকর্ম কতদিন বেঁচে থাকবে না থাকবে তা সাহিত্যিকের প্রত্যক্ষ প্রভাবমুক্ত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যের কালোত্তরণের বিষয়টিকে ব্যাপক প্রাধান্য দিতেন বলে দেখা যায়। প্রসঙ্গত, ‘ষোড়শী’র নাট্যরূপ নিয়ে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে লিখিত ব্যক্তিগত চিঠিতে কবির অভিমত উল্লেখ্য, “...সৃষ্টিকর্তারূপে তোমার কর্তব্য ছিল, এই ভৈরবীকে একান্ত সত্য করা, লোকরঞ্জনকর আধুনিককালের চলতি ‘সেন্টিমেন্ট’ মিশ্রিত কাহিনী রচনা করা নয়। সাহিত্যে তুমি বড় সাধক, ইন্দ্রদেব এখন যদি সামান্য প্রলোভনে তোমার তপোভঙ্গ করেন তাহলে লোকসান সাহিত্যের। তুমি উপস্থিত কালের কাছ থেকে দাম আদায় করে খুশি থাকতে পারো – কিন্তু ...
এখানে প্রেম আর বিপ্লব একই সাথে আসে। একই পথে চুপিসারে পাশাপাশি হাঁটে। এখানে বোধহয় তারা সমার্থক...