সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অনুবাদ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মার্ক্সবাদী নন্দনতত্ত্ব

ভূমিকা - স্টেফান মোরাভস্কি: উৎস হলো মার্কস এবং এঙ্গেলসের সাহিত্য ও শিল্পকর্ম বিষয়ক লেখালেখি - তাদের নান্দনিক চিন্তা ১৮৪২ সালের শেষের দিকে তাদের লেখায় খুঁজে পাওয়া যায় - মূল উৎস: মার্কস এবং এঙ্গেলসের ইউজেন সুয়ের উপন্যাস এবং ফার্দিনান্দ লাসালের নাটক সিকিনজেন সম্পর্কে লেখালেখি - মূল থিম: শিল্পের কার্যকরী দিক - শিল্পী এবং তাদের কাজের উপর বিচ্ছিন্নতার প্রভাব, বাস্তবতার সমস্যা (অর্থাৎ, শিল্পকে মতাদর্শ হিসেবে দেখা), প্রবণতা লেখালেখি, এবং শিল্পের শ্রেণী সংযোগ বাস্তবতার সমস্যা - শিল্প বাস্তবে কী করে? মার্কসবাদী পদ্ধতি - নান্দনিক ঘটনা সামাজিক অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত হয়ে অধ্যয়ন করা হয়; ভিত্তি-অবকাঠামো মডেল; দ্বিমুখী সম্পর্ক ভিত্তি - অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ অবকাঠামো - রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপ যা সরাসরি অর্থনীতির সাথে জড়িত নয় অর্থডক্স মার্কসবাদী বলে যে ভিত্তি অবকাঠামোর উপর আধিপত্য করে: যারা উৎপাদনের মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে তারা প্রকাশের মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে সূক্ষ্ম পরিবর্তন: পারস্পরিক সংবিধান বলে যে এই দুটি একে অপরকে প্রভাবিত করে আলথুসার বলে যে তারা অপেক্ষাকৃত স্বায়ত্তশাসি...

জন ফিস্কের 'দি কোডস অব টেলিভিশন'

টেলিভিশনে তিন স্তরের কোড থাকে। ১ম স্তর – বাস্তবতা চেহারা, সাজসজ্জা, পরিবেশ, আচরণ, কথা, অঙ্গভঙ্গি, অভিব্যক্তি, শব্দ ইত্যাদি ↓ এগুলোকে বৈদ্যুতিকভাবে কোডযুক্ত করা হয় নিম্নলিখিত প্রাযুক্তিক কোডের মাধ্যমে: ২য় স্তর – পরি-উপস্থাপন ক্যামেরা, আলোকসজ্জা, সম্পাদনা, সঙ্গীত ↓ এরা বহন করে চিরায়ত উপস্থাপনামূলক কোড, যারা আখ্যান, সংঘাত, চরিত্র, ক্রিয়াকর্ম, সংলাপ, পটভূমি প্রভৃতির পরি-উপস্থাপনাকে আকার দেয় ↓ ৩য় স্তর – ভাবাদর্শ যাদেরকে আদর্শিক কোড দ্বারা সঙ্গতি ও সামাজিক গ্রহণযোগ্যতায় সংগঠিত করা হয়। যেমন, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য, পিতৃতন্ত্র, জাতি, শ্রেণি, বস্তুবাদ, পূঁজিবাদ ইত্যাদি। জন ফিস্কের 'রিডিং টেলিভিশন' (২০০৪) বইয়ের 'দি কোডস অব টেলিভিশন' শীর্ষক অধ্যায় থেকে। জন ফিস্ক (১২ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ - ১২ জুলাই ২০২১

বিশ্বাস, মতামত ও বিতর্ক বিষয়ে মনীষী বার্টান্ড্র রাসেল

যদি আপনার নিজের মতের বিপরীত কোনো মতামত আপনাকে রাগায় দেয়, তাহলে এটা একটা আলামত যার মানে আপনি ভিতরে ভিতরে জানেন যে আপনার মতো চিন্তা করার কোনো যথাযথ কারণ নাই। যদি কেউ ধরে রাখে যে দুই এবং দুই পাঁচ, অথবা আইসল্যান্ড নিরক্ষরেখায় আছে, আপনার রাগের পরিবর্তে করুণা বোধ করা উচিত, যদি না, আপনি পাটিগণিত বা ভূগোল সম্পর্কে এত কম জানেন যে তার মতামত আপনার নিজের বিপরীত বিশ্বাসকে ঝাটকা দেয়।      সবচেয়ে বেশি কামড়াকামড়ি সেই বিষয়গুলা নিয়ে যেগুলার আসলে কোনপক্ষেই কোনো ভাল প্রমাণ নাই৷ ধর্মতত্ত্বে জবরদস্তির জায়গা আছে, পাটিগণিতে নাই, কারণ পাটিগণিতের মধ্যে জ্ঞান আছে, ধর্মতত্ত্বে আছে শুধু মতামত। সুতরাং যখনই আপনি মতপার্থক্যের জন্য নিজেকে গোস্যা হতে দেখবেন, তখন সাবধান; পরীক্ষা করলে সম্ভবত দেখবেন যে, আপনার বিশ্বাস হাঁটা দিচ্ছে যুক্তির ফরমানের বাইরে।      — বার্ট্রান্ড রাসেল, বুদ্ধিবৃত্তিক আবর্জনার রূপরেখা (১৯৪৩) ছবি: বার্ট্রান্ড রাসেল তাঁর যুক্তরাজ্যের বাড়ির পড়ার ঘরে, ১৩ নভেম্বর ১৯৫৪ সালে।

THE ART OF SEDUCTION by Robert Greene

রবার্ট গ্রিন এখানে ‘সিডাকশন’ কথাটাকে ব্যবহার করেছেন শুধুমাত্র যৌন প্রলোভন হিসেবে নয়, বরং আরো ব্যাপক অর্থে—রাজনৈতিক, সামাজিক বা অন্যান্য ক্ষেত্রে যেই প্রলোভন প্রযোজ্য। এই প্রলোভনের নীতিগুলো জানলে নিজেকে ও নিজের সম্পর্কগুলোকে আরেকটু ভালোভাবে ঝালাই করা যাবে। সেইসাথে তাদের প্রয়োগ করা যাবে ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনে।    সারকথা প্রলোভন ব্যাপারটাই মনস্তত্ত্বের খেলা, সৌন্দর্যের না। ফলে এই খেলার একজন ওস্তাদ হয়ে ওঠা যেকোন মানুষেরই আয়ত্ত্বে আছে। এমন নয় যে, একজন প্রলোভনকারী তার ক্ষমতাটাকে একবার চালু আর একবার বন্ধ করেন—প্রতিটা সামাজিক ও ব্যক্তিগত লেনদেনই তার কাছে প্রলোভনের একেকটা সুযোগ। সুযোগের একটা মুহূর্তও নষ্ট করার নাই। প্রলোভনকারীরা কখনো আত্মনিমগ্ন থাকে না। তাদের দৃষ্টি থাকে বাইরের দিকে, ভিতরের দিকে নয়।  প্লেজার বা পুলক হলো আমাদেরকে আমাদের সীমার বাইরে টেনে নিয়ে যাওয়ার অনুভূতি, উদ্বেলিত করে দেওয়ার অনুভূতি—তা হতে পারে মানুষের দ্বারা, বা কোনো ঘটনার দ্বারা।  শেষত, যারা কিনা প্রলোভনকারী, তাদের দুনিয়াদারির সাথে নৈতিকতা ব্যাপারটার সম্পর্ক একদম নাই। প্রতিটা প্রলোভনের দুইটা উপাদান থাকে...

চলচ্চিত্রের নির্ণায়কসমূহ: জেমস মোনাকোর পাঠ অবলম্বনে

শৈল্পিক অভিজ্ঞতাকে আমরা উৎপাদন অথবা ভোগ যে প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি না কেন - আমাদের অভিজ্ঞতা কিছু সংখ্যক নির্ণায়ক দ্বারা প্রভাবিত হয়। চলচ্চিত্র গবেষক জেমস মোনাকো তাঁর 'FILM AS AN ART' প্রবন্ধে নির্ণায়কসমূহের নাম, তাদের সমালোচনা পদ্ধতি এবং কার্য সম্পাদন সম্পর্কে একটি রূপরেখা প্রদান করেছেন। নিম্নে এর পরিবর্ধিত রূপ প্রকাশ করা গেল -      সামাজিক রাজনৈতিক নির্ণায়ক:  ঐতিহাসিকভাবে রাজনৈতিক নির্ণায়কই হলো প্রাথমিক। এই নির্ণায়ক দ্বারাই নির্ধারিত হয় একটি শিল্প অথবা শিল্পকর্ম সামাজিকভাবে কীভাবে ব্যবহৃত হবে। এক্ষেত্রে, উৎপাদনের চেয়ে ভোগ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গ্রীক ও রোমান মতবাদ অনুযায়ী, শিল্পকে জ্ঞানতাত্ত্বিক ক্রিয়াকলাপ হিসাবেই দেখা হোত। বিশেষত, তখন জ্ঞানের অভিমুখে যাত্রাকে দেখা হোত ধর্মীয় যাত্রা হিসাবে। এ ধরনের মতবাদ সামাজিক রাজনৈতিক শ্রেণীকরণের অন্তর্ভুক্ত। রাজনৈতিক নির্ণায়ক শিল্পকর্ম ও তাকে প্রতিপালনকারী সমাজের মধ্যকার সম্পর্ককে ব্যাখ্যা করে।  মনস্তাত্ত্বিক নির্ণায়ক:   অন্যদিকে এই নির্ণায়ক হল অন্তর্মুখী। কারণ এই আলোচনা শিল্পকর্মের সাথে বহির্বিশ্বের সম্পর্ককে নয়; বর...

কমরেড ভগত সিংয়ের শেষ চিঠি

[শহীদ বিপ্লবী ভগত সিং যখন লাহোর কারাগারে ইংরেজ সরকারের হাতে বন্দী তখন তাঁর কমরেডরা পরিকল্পনা করছিলেন জেল ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে আনার। ২৩ মার্চ ১৯৩১ সালে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের ক্ষণকে সামনে রেখে ভগত সিং সহযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে উর্দুতে এই চিঠি লেখেন।] কমরেডগণ! এ কথা গোপন করতে চাই না যে বাঁচবার স্বাভাবিক সাধ তো আমারও ছিল। কিন্তু শুধু এই এক শর্তেই আমি বাঁচতে পারি যে, কোনো বাঁধা বা বন্দিত্বের জীবন আমি চাই না।       আমার নাম হিন্দুস্তানি বিপ্লবের এক নিদর্শনে পরিণত হয়েছে, আর বিপ্লবী দলের আদর্শ ও ত্যাগ আমাকে অনেক উঁচুতে তুলে দিয়েছে — এতখানি উচ্চতায় যে আমি বেঁচে রইলে এর ঊর্ধ্বে আর কোনো অবস্থানে নিশ্চিতভাবেই থাকতে পারব না।      আজ আমার দুর্বলতাগুলো মানুষের চোখে ধরা পড়ছে না। আমি যদি ফাঁসির দড়ি এড়াই, সেই দুর্বলতাগুলো তখন স্পষ্ট হবে এবং বিপ্লবের প্রতীকে হয় কালিমা লাগবে, অথবা তা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। অথচ যদি বুকে সাহস নিয়ে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়াই তাহলে হিন্দুস্তানি মায়েরা ভগত সিংয়ের মতো সন্তান চাইবে এবং দেশের জন্য প্রাণ দেয়া মানুষের সংখ্যা এত বেড়ে যাবে যে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি কি ...

মিডিয়া সাক্ষরতা : আদিপর্ব

মিডিয়া সাক্ষরতা ও এ সংক্রান্ত যাবতীয় জিজ্ঞাসা - মিডিয়া নিজে যতটা প্রাচীন তার চেয়ে কম পুরনো নয়। বর্তমানে তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির সহজলভ্যতা মিডিয়া সাক্ষরতাকে অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে সত্য। কিন্তু মিডিয়ার প্রভাব ও মিডিয়া সাক্ষরতার গুরুত্ব নিয়ে নানা প্রশ্ন অনেক অনেক আগে থেকেই আলোচিত হয়ে এসেছে। এটাও লক্ষণীয় যে মিডিয়ার পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন বিতর্ক একইসাথে নবাগত প্রযুক্তি, শিল্প (আর্ট ও ইন্ডাস্ট্রি উভয় অর্থে), এমনকি সংস্কৃতির গতিপথকে সময় সময় প্রভাবিত করে এসেছে। তবে ১৯৬০ এর দশক পর্যন্ত পরিভাষা বা গবেষণাক্ষেত্র হিসাবে এর অস্তিত্ব ছিল না। যতদিন না বিষয়টি যোগাযোগ স্কলার ও মিডিয়া প্রফেশনালদের কাজের ক্ষেত্র হয়ে ওঠে তার আগ পর্যন্ত (কিংবা এখনো কিছুসময়) যোগাযোগ সংশ্লিষ্ট ভাবনাসমূহ পরিচালিত হয়/হয়েছে তাত্ত্বিক, দার্শনিক, সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী ও ভাষাতত্ত্ববিদদের দ্বারা। এ যাবৎ মিডিয়া সাক্ষরতা নিয়ে যত তত্ত্বীয় চিন্তা হয়েছে তাতে --- প্লেটো থেকে ফ্রয়েড, সসার (১) থেকে সিক্সাস (২) --- প্রত্যেকেরই রয়েছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। উৎপত্তি ও সংজ্ঞা এই তথ্য মোটেও অভিন...

48 LAWS OF POWER by Robert Greene and Joost Elffers

Vladimir Putin The definition of power in 21st century