সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মনোরহস্য লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শোপেনহাওয়ারের প্রেমবোধ: রোমান্টিক ভ্রান্তি ও প্রকৃতির কৌশল

ভূমিকা শোপেনহাওয়ারের দর্শন মানব প্রেমকে যে দৃষ্টিতে দেখে, তা পশ্চিমা দার্শনিক ঐতিহ্যের সঙ্গে রীতিমতো বৈরী। প্রেম ও রোমান্স যেখানে অধিকাংশ দার্শনিক ও সাহিত্যিকদের কাছে মানবিক সৌন্দর্য ও নৈতিক পরিপূর্ণতার ক্ষেত্র, সেখানে শোপেনহাওয়ারের দৃষ্টিতে প্রেম এক ধরনের  মায়া  বা  প্রতারণা , যা জীবনের মূল চালিকাশক্তি —  ইচ্ছাশক্তি (Will to Life)  — দ্বারা পরিচালিত। এই ইচ্ছাশক্তি অন্ধ, নির্মম এবং স্বার্থপর; এর একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে প্রজনন ও জীবনের ধারাবাহিকতা। এ রচনায় আমরা প্রেম, নারী-পুরুষ সম্পর্ক এবং শোপেনহাওয়ারের দৃষ্টিভঙ্গিকে একটি সমসাময়িক বাস্তবতাভিত্তিক বিশ্লেষণের আলোকে ব্যাখ্যা করবো। অনেক পুরুষ কেন নারীর সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে হতাশা, বিষণ্ণতা কিংবা নিঃশব্দ নিরাশার মধ্যে ডুবে যায়? এর উত্তর শুধু সামাজিক বা নৈতিক বিভ্রান্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং, আধুনিক প্রেম ও সম্পর্কের ভিত্তিতেই রয়েছে এক প্রাচীন এবং অপ্রকাশিত সত্য—যা আদতে প্রকৃতির নির্মম নিরপেক্ষতার ফল। এই আলোচনার উদ্দেশ্য ঘৃণা ছড়ানো নয়, বরং এক মোহভঙ্গ—এক মুক্তির আহ্বান। এটি এক আত্মপ্রবঞ্চনা থেকে মুক্তির ডা...

একটি খসড়া গল্প : শেষ পর্ব

তোমার হৃদয়ে জমা অন্ধকার তোমাকে তাড়া করছে মাইন্ড গেম ... আস্তে আস্তে মাথার কুয়াশা পরিষ্কার হতে লাগল... এই মেঘলাকে মনে মনে কী ভালোটাই না বেসেছি, অথচ এখন, ওর দিকে তাকাতেও ভয় পাচ্ছি। আমি কি কখনো আনন্দের সৃজন করিনি? সুরের জন্ম দেইনি?  সবই কি ভয়ঙ্কর, সবই কি অসুর? 'তোমার দুর্ভাগ্য - মেঘলা কোলের বিড়ালটাকে নামিয়ে রাখল, কালো দিকটাই তোমকে তাড়া করছে। তোমার হৃদয়ে জমে থাকা অন্ধকারও এর জন্য দায়ী।' 'অন্ধকার! আমার হৃদয়ে!' 'হ্যা অন্ধকার। তুমি অহংকারী, দুর্বল আর স্বেচ্ছাচারী। ওই ট্রাকের তলে চাপা পড়া লোকটাকে দেখ। কিংবা ওইদিকে যে বুড়ো লোকটা কেনার জন্য লাশ খুঁজছে। এদের বেহাল দশার জন্য তুমিই তো দায়ী।' 'তুমি এভাবে বলতে পারো না - উত্তেজিত হয়ে বললাম, লেখক কেবল নিয়তিকেই অনুসরণ করে। নিয়তি যাকে যে পথে চালায় আমরা সেটাই মলাটবন্দী করি।' মেঘলা হাসল, এসব কোথা থেকে শুনেছ? নাকি বানিয়েছ নিজে নিজে? আমার কী ধারণা জানো? তুমি আসলে দুর্বল আর অসহায় একটা বাচ্চা। সত্যিকার জগতে তুমি ক্ষমতাহীন। কিন্তু যেতাকে তুমি নিজের জগৎ বলে দাবি করছ সেখানে আচ্ছামত ক্ষমতার প্র...

একটি খসড়া গল্প : প্রথম পর্ব

কয়তলায় যাবেন? আমার নাম মেঘলা ...অজান্তেই বাস্তবের মানুষগুলো লেখার ভেতরে ঢুকে পড়ে... এমন সময় কলিং বেল বাজল। একটানা অনেকক্ষণ। আমার তখন পাগলপ্রায় অবস্থা। চিন্তার মধ্যে হারিয়ে গিয়েছিলাম। একা বাসায় একটা খ্যাপা গল্প নিয়ে কাজ করছিলাম। তখনি কেউ বেল বাজাল। নাহলে হয়তো আমার পাগল হওয়া আর ঠেকান যেত না। টেবিল ছেড়ে গিয়ে দরজা খুলে বাইরে উঁকি দিলাম। একটা মেয়ে। মেয়ে কি মহিলা তা বলা শক্ত। দেখে তো পরিচিত বলেই মনে হলো। কোথায় দেখেছি এই মুহুর্তে মনে করতে পারলাম না। আমার মায়ের কোনো ছাত্রী? 'কয়তলায় যাবেন?' দরজাটা সামান্য একটু ফাঁক করেছি। শরীর দরজার আড়ালে। কেননা আমার পরনে কেবল একটা হাফ প্যান্ট। মেয়েটা একটু ইততস্ত করে বলল, এটা কি বিক্রমাদিত্যর বাসা? দরজা পুরো না খুলেই উপরে নিচে মাথা নাড়লাম।  'উনি কি আছেন?' আমাকে কেন চাইছে মেয়েটা বুঝতে পারলাম না। চেহারটা এখনো মেলাতে পারছিনা। তবে দরজা পুরোপুরি খুলে আত্মপ্রকাশ করলাম। জানালাম আমিই সেই অধম - ভেতরে আসুন, প্লিজ। 'ইয়ে তুমি... আপনি বিক্রমাদিত্য?' মেয়েটা আমার ওপর দৃষ্টি স্থির রেখে ঘরে ঢুকল। আধা ন্যাংটো অবস্থায় আমাকে দেখ...