[২০১২ সালে প্রকাশিত "ভূতলোজি কিংবা চিত্তশুদ্ধি" বই থেকে] চায়ের কাপে চুমুক দিতেই মেজর রাশেদের জিহ্বা পুড়ে গেল। আহ! চায়ের কাপ নামিয়ে রাখলেন। এ ব্যাপারটি নিশ্চিত যে, জিহ্বা পুড়ে যাওয়া অন্যমনস্কতারই কুফল। চায়ের কাপ নামিয়ে রেখেও মেজর ভ্রূ কুঁচকে রইলেন। ক্যান্টিনের চোদ্দ-পনরো বছরের কাজের ছেলেটি তাকে অনেকক্ষণ ধরে লক্ষ্য করছে। বাঙালি এ অফিসারকে ছেলেটি অধিকাংশ সময় আমোদ-প্রমোদে মগ্ন থাকতে দেখেছে। আজকে মেজরের এমন অন্যমনস্কতার কারণ সে কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারে। সে শুনেছে, পূর্ব- পাকিস্তানে গোপনে আর্মি ঢোকান হচ্ছে। মেজর কোন না কোনভাবে তা জেনে গেছেন। সুতরাং, স্বাভাবিকভাবেই তিনি এর বিরুদ্ধে এবং এটা নিয়ে চিন্তিত। "স্যার, চা ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে" ছেলেটা এগিয়ে এল। "কি? ও আচ্ছা।" মেজর আবার ভাবনায় নিমজ্জিত হলেন। এমন সময় ক্যান্টিনের ভেতর ধুপধাপ শব্দ তুলে দু'জন সশস্ত্র জোয়ান ঢুকল। এরপর মেজর রাশেদের টেবিলের কাছে গিয়ে তাকে স্যালুট করল। মেজর ওদের দিকে কপাল কুঁচকে তাকালেন। তাদের একজন একধাপ এগিয়ে এসে জানাল: "স্যার, কমান্ডার সাব আক্কো হেড কোয়ার্টার বুলায়া" "...
এখানে প্রেম আর বিপ্লব একই সাথে আসে। একই পথে চুপিসারে পাশাপাশি হাঁটে। এখানে বোধহয় তারা সমার্থক...