সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ভৌতিক লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইফরিত ২

বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুর প্রথম যে কেসটা, তার ঠিক এক সপ্তাহ আগে, আমরা ভূত ধরতে গাজীপুরের ওই রিসোর্টে যাই। চারশ বছর বয়সী এক দরবেশের ভূত। শুধু ধরতে না, ধরতে এবং সেই অভিযানের উপর ছবি বানাতে। যে রিসোর্টের কথা বলছি সেটা মালিকানা বদলে গত বছর থেকে আবার পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে; যে কারণে তার নামটা আমি প্রকাশ করতে পারছি না। রিসোর্টের বর্তমান সত্ত্বাধিকারী(গণ) আমাকে স্পষ্ট ভাষায় সতর্ক করেছেন: আকারে-ইঙ্গিতেও ওই রিসোর্টের পরিচয় প্রকাশ পেলে তারা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।  ওই অভিশপ্ত জায়গার কবল থেকে আমরা যারা মুক্তি পেয়েছি তারা নিজেদের প্রাণ রাখতে পেরেই সন্তুষ্ট। সেই আতঙ্কদায়ী অতীতকে আরো বেশি নাড়াচাড়া করে আরো বেশি জটিলতায়—বিশেষত আইনি জটিলতায়—পড়ার ইচ্ছা কারো নাই। কিন্তু আমাদের বায়োস্কোপ-ওঝা-অভিযাত্রী দলে একজন লেখক ছিল, আমি শ্রীমান। আর, লেখকদের সহজাত এক অভিশাপ থাকে: নিজেকে ব্যক্ত করার তাড়না। ফলে আমি যা দেখেছি, শুনেছি, অনুভব করেছি তাকে টাইপ না-করে থাকতে পারিনি। এরপর কয়েক দফা ইমেইল চালাচালি, এক দফা উকিল নোটিশ ও হলফনামা বিনিময়ের মাঝে কেটে যায় অনেকগুলো বছর। বহুদিন ফেলে রেখে, বহু শর্তসাপেক্ষে, বহু...

ইফরিত

মোহাম্মদপুরের এক ভীষণ ব্যস্ত সড়কের পাশে আমাদের দুই বেড-ড্রয়িং-ডাইনিং এর ভাড়া বাসা। বাসাটা যখন নেয়া হয় তখন আমি তিন মাসের প্রেগন্যান্ট। এই এলাকায় ভাড়া তুলনামূলক বেশি। কিন্তু সদ্য তোলা বাড়ি আর তমালের অফিসও কাছেই হয় তাই ভাবলাম - এই ভালো। বাসায় উঠে গোছগাছ তখনো সারিনি। এক মাস গেছে কি যায়নি তখন থেকে সমস্যাটার শুরু। তমাল অফিস করে ফিরতে রাত নয়টা দশটা বাজত। খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়তেও সময় নিত না। আমি কোনদিন ওর সাথে শুয়ে পড়তাম, কোনদিন গল্পের বই পড়তাম অথবা ডায়েরি লিখতাম। এক রাতে টেবিল ল্যাম্প জ্বেলে কিছু একটা পড়ছি হঠাৎ দরজায় টোকা দেয়ার মতো আওয়াজ পেলাম। আমার কান খুব খাড়া। আওয়াজটা বাইরের ঘর থেকে এসেছে বুঝতে অসুবিধা হয় না। রাত্রি একটার সময় কে বড় দরজায় টোকা দিবে? পড়ায় মন ফিরিয়েছি মিনিটও হয়নি আবার... নক নক। খুব স্পষ্ট আওয়াজ। ভাবলাম সত্যিই বুঝি কেউ এসেছে। রাত হয়েছে বলে কলিং বেল টিপছে না। উঠে গিয়ে দরজার ফুটোয় চোখ রাখলাম। সারারাত বাহিরের আলো জ্বলত। কাউকে দেখলাম না। ঘরে ফিরে আসার কিছক্ষণের মধ্যেই আবার... নক নক। এবার আর দেখতে গেলাম না। দরকার হয় বেল বাজাবে। শীত করছিল। আলো নিভিয়ে তমালকে জড়িয়ে শুয়ে পড়ল...