সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তেঁতুল বনসাই

মনেও থাকে না যে রমজান মাস চলে। চারদিকে কেউ-না কেউ কিছু-না কিছু খাচ্ছে। পথের ধারে কয়েকজন মিলে টেবিল বসিয়ে লেমনেড বিক্রি করে টাকা তুলছে। সম্ভবত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেক আগত শরণার্থীর জন্য। টেবিলে একটা সাদা ডেস্ক ক্যালেন্ডারের আকৃতিতে কাগজের জিনিসটা রাখা, ফোল্ডেড প্ল্যাকার্ড? তাতে কী লেখা দূর থেকে পড়া যায় না। লেখার নিচে কিউ-আর কোড। যে ক্যাম্পাসেই যাই সেখানেই এখন এটা একটা পরিচিত দৃশ্য, টাকা তোলার দৃশ্যটা। চাঁদা আদায়কারী চেয়ার থেকে ঝুঁকে এগিয়ে হাতে লিফলেট ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এখানে তিনজন অবশ্য অনেকটা ঝিমাচ্ছে। সচরাচর ইমিগ্রান্টরা এসব দান-খয়রাতে উৎসুক হয়ে অংশ নেয়। আমি যেটা করি সেটা হলো পাশ কাটিয়ে চলে যাই। অত্যুৎসাহী কেউ কথা বলার জন্য থামাতে চাইলে ব্যস্ততার দোহাই দেই। এখানকার ছাত্রছাত্রী অনেক ভদ্র। অনেক ক্যাম্পাসে আমি শুনতে পাই পিছনে গালি দিচ্ছে।   শীত সদ্য বিদায় নিয়েছে। ঘাসের ওপর ফ্রিসবি খেলছে তরুণ-তরুণীরা। কয়েকজন দূরে দূরে রোদে বসে গিটার বাজাচ্ছে। তাদেরকে ঘিরে আরো ছেলেমেয়ে। একজন ছাত্রী চিত হয়ে শুয়ে বই পড়ছে গাছের ছায়ায়। পায়ের ওপর পা তোলা। দৃশ্যটা অনেকটা ছায়াছবির মতো। কিছুটা দূরে আর...