ইন্দুবালার সাথে আমার সাক্ষাৎ এক সপ্তাহ আগে এই মহাকাশযানডা ক্ষয়ে গেসে, সব অর্থেই গেসে এক্কেরে, ভিতর আর বাইরে থেকে। আরোই ক্ষইতেসে দিন দিন, ঝুরঝুরায় পড়ে যাইতেসে সব পার্টস-পুটস। এত উথালপাথাল এত কিছুÑশেষমেশ দেখা গেল কিছুই বদলায় নাই, কিছুই ঠেকানো যায় নাই। অস্থিরতায় আমিও মাতসিলাম, নাদান ছিলাম, কী যে চাইসিলাম ঠিকমতো বুঝি নাই। এখন এইটুকু বুঝি যে, আমি আর অন্যের জন্য কিছু চাই না। চার সৌর বছর আগে এই লক্করঝক্কর মহাকাশযানটার নাম ছিল দক্ষিণযান। এখন নাম দিসি আলগাযান, আগেও এটাই ডাকতাম, ভালোবেসে, আর এখন কাগজে-কলমে। অবকাঠামোর বেহাল দশা ওই সময়কার সংঘর্ষের কারণেÑযেটারে এখন আমরা বলি ‘গ্যাঞ্জাম’। উত্তরযান থেকে লেলানো অরির ঝাঁক এসে লাখ লাখ অধিবাসী মেরে তুছরা করে দিসে। অরিপোকার হুলের ঘা শুকাইতে না শুকাইতে, নিঙড়ানো নাড়িভুড়ির স্তূপের গন্ধ টাটকা থাকতেই, হায় সে কী দুর্ভিক্ষ। আলগাযানে উত্তরের সেক্টরগুলাতে মেরামত হইসিল না, তারপর থেকে বিষাক্ত হাওয়া ঢুকে ছেলেবুড়া মুখ দিয়ে রক্ত উঠে নাশ হইসে। মাঝে মাঝে মনে হয় কী পুরা জাহাজটাতেই বিষ ছড়ায় আছে। আজকাল এটা একটা পাগলাগারদে পরিণত হইসে। দারোয়ানহীন গারদ। একজন আরেকজনরে ছিঁড়ে...
এখানে প্রেম আর বিপ্লব একই সাথে আসে। একই পথে চুপিসারে পাশাপাশি হাঁটে। এখানে বোধহয় তারা সমার্থক...