সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

উড়ো চর্চা ২

দেবী প্রাচীরের ওপর দাঁড়িয়ে একে একে দু'টো স্যান্ডেল খসিয়ে ফেললেন পা থেকে। আমার বুক ঢিপঢিপ করছিল, উনি টাল সামলাতে না পেরে পড়ে-টড়ে যান কিনা। কোন জন্মের উচ্চতা ভীতি আমার মন থেকে দূর হলো না এখনো। কফির মগটা সাবধানে নামিয়ে কাতর গলায় অনুরোধ করলাম, 'নেমে আসুন দেবী। আমি যে ভয় পাই।' 'আরে বোকাচন্দ্র ভয়ের কিচ্ছু নাই। এদিকে এসো। কাছে এসো।' 'কেন?' আমার পা কিন্তু সরে না। অলকানন্দার স্থবির টব থেকে শুরু করে বাতাসের গতিমুখ - সবটাই আমাকে শঙ্কিত করছিল। 'আমাকে একটা ঠেলা দাও আলতো করে।'  'কী বলছেন!' সত্য যে, আমার আঁতকে ওঠায় যতখানি ভয় ছিল ততখানি চমক ছিল না।  'পড়ব না। ভয় নাই। আসো তো আসো। দেখোই না, আমি ভাসব। তারপর উড়ে যাব।' 'না না আমি পারব না।' দেবী কিছু একটা বলতে গিয়ে অন্যদিকে মুখ সরিয়ে নিলেন। ঈষৎ কালো ছায়া যেন নেমে এল ভিট্রুভিয়াসের বিদ্রূপকারী ওই মুখে। আমি একটা প্রয়োজনীয় ধাক্কা খেলাম। হঠাৎ নিজের ওপর খুব লজ্জা হলো আমার। আমি দেবীকে অবিশ্বাস করছি। দেবীর কথায় সন্দেহ প্রকাশ করছি। আর কত - ছি!! নিজেকে ধিক্কার দিয়ে আমি তার কাছে এগিয়ে গেলাম, 'সত্যিই আপনার ...

মন

শুক আমাকে হুঁশিয়ার করেই চলেছে সুবিনয়ের ব্যাপারে। আমি ধৈর্য হারিয়ে ওকে বকা দিলাম। কেন রে বাপু, এতবার বলতে হচ্ছে কেন? আমি নিজে তো চোখের ওপর দেখতে পাচ্ছি এই সুবিনয় আমার আরাধ্য নয়। আরাধ্যের ধারেকাছে কেউ নয়, কিছু নয় সে। না আমি মন্দ বলছি না ছেলেটাকে। সবই ঠিক আছে। সব ঠিকই আছে। তবুও ঠিক আমার সাথে যাচ্ছে না। সবকিছুর পরও আমার আরাধ্য তো সে নয়। তাই না?  এক যুগ হলো আরাধ্যকে দেখি আমি প্রায় রাতে। ঘুমানর আগে আরশি আমায় দেখাত। তারপর এখন ঘুমিয়ে দেখি স্বপ্নে। দু’জনেরই অভ্যাস হয়ে গেছিল এভাবে দেখা করার। অনেকদিন বাদে আরশিকে আবার দেখাতে বলেছি, সুবিনয় আর আরাধ্যকে পাশাপাশি মেলানর জন্য। আরশি আমাকে আরেকবার আশ্বস্ত করেছে, দুইটা মানুষ কোনো দিক থেকেই এক নয়। তার পরপরই স্বপ্নে একবার ডেকেছি সুবিনয়কে। আরাধ্য রাগ করবে না জানতাম। আরাধ্য সেরকম মানুষ নয়। তাছাড়া একটা রাতের জন্যই তো। সুবিনয় অবশ্য ঘাবড়ে গিয়েছিল। স্বপ্নে যাতায়াতের অভিজ্ঞতা ছিল না বোধ হয়। আমি দু’জনকেই খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলাম। নাহ, আমার আরাধ্য সব দিক থেকেই অন্যরকম। চলন বলন সব আলাদা।  অন্যান্য দিন আরাধ্য টাংস্টেনের জাদু আলোতে আরামকেদারায় বসে আলোচ...