যদি আপনার নিজের মতের বিপরীত কোনো মতামত আপনাকে রাগায় দেয়, তাহলে এটা একটা আলামত যার মানে আপনি ভিতরে ভিতরে জানেন যে আপনার মতো চিন্তা করার কোনো যথাযথ কারণ নাই। যদি কেউ ধরে রাখে যে দুই এবং দুই পাঁচ, অথবা আইসল্যান্ড নিরক্ষরেখায় আছে, আপনার রাগের পরিবর্তে করুণা বোধ করা উচিত, যদি না, আপনি পাটিগণিত বা ভূগোল সম্পর্কে এত কম জানেন যে তার মতামত আপনার নিজের বিপরীত বিশ্বাসকে ঝাটকা দেয়। সবচেয়ে বেশি কামড়াকামড়ি সেই বিষয়গুলা নিয়ে যেগুলার আসলে কোনপক্ষেই কোনো ভাল প্রমাণ নাই৷ ধর্মতত্ত্বে জবরদস্তির জায়গা আছে, পাটিগণিতে নাই, কারণ পাটিগণিতের মধ্যে জ্ঞান আছে, ধর্মতত্ত্বে আছে শুধু মতামত। সুতরাং যখনই আপনি মতপার্থক্যের জন্য নিজেকে গোস্যা হতে দেখবেন, তখন সাবধান; পরীক্ষা করলে সম্ভবত দেখবেন যে, আপনার বিশ্বাস হাঁটা দিচ্ছে যুক্তির ফরমানের বাইরে। — বার্ট্রান্ড রাসেল, বুদ্ধিবৃত্তিক আবর্জনার রূপরেখা (১৯৪৩) ছবি: বার্ট্রান্ড রাসেল তাঁর যুক্তরাজ্যের বাড়ির পড়ার ঘরে, ১৩ নভেম্বর ১৯৫৪ সালে।
এখানে প্রেম আর বিপ্লব একই সাথে আসে। একই পথে চুপিসারে পাশাপাশি হাঁটে। এখানে বোধহয় তারা সমার্থক...