বইয়ের বাইরেও যে সত্য আছে বিলক্ষণ জানতাম। আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল বইয়ের ভিতরেই তাকে পাওয়া যায়। আলজেবরা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়না এমন কিছুর অস্তিত্ব মানতে পারতাম না। সাহিত্যের দিকে ঝোঁক ছিল। অন্যের সৃষ্টিতে মুগ্ধ হতাম আর নিজেও সাহিত্যসৃজনের অনুরুপ চেষ্টা চালাতাম। এই সাহিত্যচর্চা করতে গিয়েই প্রথম একদিন ধন্ধে পড়েছিলাম ব্যাপারটা নিয়ে। আচ্ছা মুসিবত, 'কে-কী-কেন' এই প্রশ্নের উত্তর মেলাতে পারছিলাম না। তারপর একদিন... বইয়ের ফাঁকে, নিজের লেখার ভিতর মাঝে মধ্যেই যাকে খুঁজেছি বিনা বলে-কয়ে সেই ব্যাখ্যাতীত সত্যটাই এসে হাজির হলো। অনভ্যস্ত হাতে শাড়ি পরে, চুড়ির রিন ঝিন শব্দ তুলে, একেবারে আমার লেখার টেবিলের সামনে। ভাগ্য বিধাতার অগ্র-পশ্চাৎহীন বিবেচনায় (বরাবরই বিধি আমার সাথে এরকম আমোদে মাতেন) তার আসাটা আমি সেভাবে টেরই পেয়েছিলাম না অথচ চলে যাওয়াটা খুব বেশি করে নজরে এল। দেবীকে সাক্ষাৎ পেয়েও আমি উজবুক মঙ্গলকাব্যে মুখ ডুবিয়ে বসেছিলাম। অবহেলায় দেবী যখন ফিরে গেল তখন মুখ তুলে চাইলাম। দূরে যাওয়াতে বাঁধনে টান পড়ল আর সেই প্রথম টের পেলাম যে অজান্তে কবে বাঁধা পড়েছিলাম। জন্ম লাজুক- তাই 'ফি...
এখানে প্রেম আর বিপ্লব একই সাথে আসে। একই পথে চুপিসারে পাশাপাশি হাঁটে। এখানে বোধহয় তারা সমার্থক...