সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আমি কী ভাবসি সেইটা এতদিনে আর প্রাসঙ্গিক নাই

আপনি একটা প্রেমিক চাইসিলেন; বুরবাক আমি ভাবসি আমারে চাইসেন। পরে টের পাইসি একটা  দারুণ প্রেমিকের বিনিময়ে আপনি আমারে ঠিকই ছাইড়া দিতে পারতেন।

বিলম্বিত শোক বিজ্ঞপ্তি

২০২০ সালের মাঝামাঝি কোনো এক সময়ে, আমি মারা গেছি, হয়তো কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়ে। আমার জীবদ্দশা ছিল আশ্চর্য সুন্দর। 

THE ART OF SEDUCTION by Robert Greene

রবার্ট গ্রিন এখানে ‘সিডাকশন’ কথাটাকে ব্যবহার করেছেন শুধুমাত্র যৌন প্রলোভন হিসেবে নয়, বরং আরো ব্যাপক অর্থে—রাজনৈতিক, সামাজিক বা অন্যান্য ক্ষেত্রে যেই প্রলোভন প্রযোজ্য। এই প্রলোভনের নীতিগুলো জানলে নিজেকে ও নিজের সম্পর্কগুলোকে আরেকটু ভালোভাবে ঝালাই করা যাবে। সেইসাথে তাদের প্রয়োগ করা যাবে ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনে।    সারকথা প্রলোভন ব্যাপারটাই মনস্তত্ত্বের খেলা, সৌন্দর্যের না। ফলে এই খেলার একজন ওস্তাদ হয়ে ওঠা যেকোন মানুষেরই আয়ত্ত্বে আছে। এমন নয় যে, একজন প্রলোভনকারী তার ক্ষমতাটাকে একবার চালু আর একবার বন্ধ করেন—প্রতিটা সামাজিক ও ব্যক্তিগত লেনদেনই তার কাছে প্রলোভনের একেকটা সুযোগ। সুযোগের একটা মুহূর্তও নষ্ট করার নাই। প্রলোভনকারীরা কখনো আত্মনিমগ্ন থাকে না। তাদের দৃষ্টি থাকে বাইরের দিকে, ভিতরের দিকে নয়।  প্লেজার বা পুলক হলো আমাদেরকে আমাদের সীমার বাইরে টেনে নিয়ে যাওয়ার অনুভূতি, উদ্বেলিত করে দেওয়ার অনুভূতি—তা হতে পারে মানুষের দ্বারা, বা কোনো ঘটনার দ্বারা।  শেষত, যারা কিনা প্রলোভনকারী, তাদের দুনিয়াদারির সাথে নৈতিকতা ব্যাপারটার সম্পর্ক একদম নাই। প্রতিটা প্রলোভনের দুইটা উপাদান থাকে...

তুমি দেখা দাও আরো কম

তুমি লন্ড্রিতে যাইতে নিলেই প্রতিবার আমারে ডাকবা না। তোমার দেখা পাইতে চাই আরো কম।  কইলেই যখন-তখন বারান্দায় আসবা না। বলবা, ঘরে আম্মা আছে, বুয়া আছে, ভাবি আছে। যা মন চায় বলবা।  আমি চাই, তোমারে আরো কম কম দেখব। বরং আমি চাই, তোমারে কল দিতে যেয়ে দ্বিধা করব। বরং অনিকের জন্মদিনে আমি গোপনে তোমারে খুঁজব, তোমার গায়ে পড়া খালতো বোনটারে দেখব, তোমারে দেখব না। মাইয়া যখন কথায় কথায় কাছে ঘেঁষে দাঁড়াবে, আমি ওর মধ্যে তোমারে খুঁজে হতাশ হব। তোমার বাসার সবাই যেদিন আমাদের বাসায় বেড়াতে আসবে, সেদিন যেন তোমার পিএল থাকে। আমার আম্মা বলবে, 'তাও আনতেন--' আমি কোক কিনতে বাইর হওয়ার আগে কান পাইতা শুনব তোমারে নিয়ে একটা লাইন বাড়তি কী কথা হয়। তোমার ভাইস্তারে পড়ানোর সময় তুমি কালেভদ্রে এসে দাঁড়াবা। এক-দুইটা কথার পর আমার জড়তারে অনাগ্রহ ভাইবা 'আচ্ছা আপনাদের ডিস্টার্ব না করি' বলে চলে যাবা। আমি চাইব আরেকটু ডিস্টার্ব কর কিন্তু বলতে পারব না। ওইরকম চাই। আমি তোমারে যত বেশি পাইতে চাই তার চেয়ে বেশি খুঁজতে চাই।  আমি রাস্তাঘাটে তোমার পোশাকের মেয়ে দেখে চমকায় চমকায় উঠতে চাই। সাইনবোর্ডে তোমার নাম দেখলে জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে চ...

শট লিস্টে যা থাকবে

যদিও প্রত্যেক নির্মাতা যার যার শট লিস্ট আলাদা আলাদাভাবে তৈরি করে থাকেন, তবু কিছু সাধারণ উপাদান থাকেই যা সব লিস্টে পাওয়া যাবে। এর মধ্যে আছে:  ১। শট নম্বর: প্রত্যেক শটের জন্য একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা।  ২। শটের বর্ণনা: ক্রিয়াকর্ম আর/অথবা সংলাপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা।  ৩। শটের আকার: ফ্রেমের মধ্যে সাবজেক্ট কত বড় বা ছোট হবে।  ৪। শটের ধরন: ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল, ফ্রেমে কীভাবে সাবজেক্টকে রাখা হবে।  ৫। গতি: ক্যামেরা কীভাবে নড়বে/নড়বে না। ৬। উপাদান: কোন ক্যামেরায় ধারণ করা হবে। ৭। লেন্স: যে লেন্স ব্যবহার করে শটটি ধারণ করা হবে।  ৮। ফ্রেম রেট: যে হারে ফ্রেম ক্যাপচার করা হবে।  ৯। স্থান: যে জায়গায় শটটা নেয়া হবে। ১০। অভিনেতা: ওই শটে যারা অভিনয় করবেন।  ১১। শব্দ: শব্দ/সংলাপ কীভাবে ধারণ করা হবে। ১২। বাড়তি নোট: পরিচালক কলাকুশলীদের বাড়তি যা বলতে চান। 

ছয় ধরনের প্রামাণ্যচিত্র (six modes of documentary)

প্রামাণ্যচিত্রের ধরন [উৎপত্তির সময়কাল] : সাধারণ বৈশিষ্ট্য — সীমাবদ্ধতা কাব্যিক ধরন [১৯২০ এর দশক] : জগতের ভগ্নাংশগুলোকে পুনর্সজ্জিত করে কাব্যিকভাবে — সুনির্দিষ্টতার অভাব, অত্যাধিক বিমূর্ত  ব্যাখ্যামূলক ধরন [১৯২০ এর দশক] : সরাসরি ঐতিহাসিক জগতের ইস্যুগুলোকে সম্বোধন করে — অনেক বেশি উপদেশাত্মক পর্যবেক্ষণমূলক ধরন [১৯৬০ এর দশক] : ধারাভাষ্য ও পুনর্নির্মাণ বর্জন করে; সবকিছু যেভাবে ঘটে সেভাবেই পর্যবেক্ষণ করে — ইতিহাস ও প্রসঙ্গের অভাব অংশগ্রহণমূলক ধরন [১৯৬০ এর দশক] : সাবজেক্টকে সাক্ষাৎকার বা মিথস্ক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করে; আর্কাইভ ফিল্ম ব্যবহার করে ইতিহাসকে পুনরুদ্ধার করে — সাক্ষ্যদাতার ওপর অতিরিক্ত আস্থা, দুর্বল ইতিহাস, অনধিকার প্রবেশ করে আত্মবাচক ধরন [১৯৮০ এর দশক] : প্রামাণ্যচিত্রের কাঠামোকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, অন্যান্য রীতিকে অচেনা করে তোলে — দুরূহ, আসল ইস্যু থেকে দূরবর্তী পরিবেশনামূলক ধরন [১৯৮০ এর দশক] : সাধারণভাবে বস্তুগত হিসেবে বিবেচিত প্রকরণগুলোর ভাবগত আঙ্গিকের ওপর জোর দেয় — বস্তুনিষ্ঠতা থেকে সরে আসার কারণে এই ধরনের ছবিগুলি আভঁ-গার্দ হিসেবে ধরা হতে পারে; শৈলীর ‘অতিরিক্ত’ ব্যবহার

গ্লাস (১৯৫৮) : বার্ট হানস্ত্রা'র স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র

ওলন্দাজ চিত্রনির্মাতা বার্ট হানস্ত্রা'র গ্লাস চলচ্চিত্রটি ১৯৫৯ সালে হল্যান্ডের প্রথম কোনো ছবি হিসেবে অস্কার লাভ করে। সচরাচর একে 'নিখুঁত স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র' আখ্যা দেয়া হয়। ছবিটি নেদারল্যান্ডের কাঁচশিল্পকে বিষয় করে কাব্যিক রীতি তে নির্মিত। হানস্ত্রাকে যখন এই বিষয়ের ওপর কাজ করার বরাত দেয়া হয় তখন উনি সিদ্ধান্ত নেন সাদামাটা পরিবেশনের পরিবর্তে শৈল্পিকভাবে বিষয়টিকে উপস্থাপন করার। রঙিন এই চলচ্চিত্রটিতে পরিচালক একদিকে কায়িক শ্রম ও কারুশৈলীর সাহায্যে তৈরি করা শিল্পবস্তুর বিশেষত্ব দেখিয়েছেন। অপরদিকে ক্যামেরার চোখ দিয়ে কটাক্ষ করেছেন ওই একই শিল্পবস্তুর যান্ত্রিক উপায়ে ব্যাপক হারে উৎপাদনকে।            শ্রুতিমধুর জ্যাজ সঙ্গীতকে পশ্চাদপটে রেখে নির্মাতা দেখিয়েছেন ডাচ কাঁচ শ্রমিকরা কীভাবে যত্নের সাথে ছান্দসিকভাবে কাঁচ সামগ্রী  তৈরি করে চলেছেন। এই পর্বের সাথে বিপ্রতীপভাবে রোবোটিক বাজনা সহযোগে দেখিয়েছেন যন্ত্র চালিত কারখানায় সারি সারি বোতলের দ্রুতগতির উৎপাদন। যদিও মানুষকে না জড়িয়ে সেখানে নিরবিচ্ছিন্ন কাজ চলে না। যার তাৎক্ষণিক প্রমাণ হিসেবে দেখি, একটি ভাঙা...