সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2019 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমার এনিমেশনসমূহ

Binxi preys at night

কাউকে না কাউকে ভালবাসতেই হয়

এক সময় এটা বদভ্যাসের মতো হয়ে যায়। তাই কাউকে না কাউকে ভালবাসতেই হয়। তীব্রভাবে কাউকে চাইতে পারা, কোনো একজনের উদ্দেশ্যে মনপ্রাণ সঁপে দেওয়া, এটা এক রকমের আসক্তি। আরো কিছু সময় বেশি বাঁচার একটা প্রলোভন, কিংবা ধরুন পিনোকিওর ঝিঁঝিঁপোকার ভূমিকায়  কোনো একজনকে দরকার বলে, কাউকে না কাউকে ভালবাসতেই হয়। যাকে ভালবাসছি  সেও আমায় বাসছে কিনা কখনো বাসবে কিনা কখনো জানবে কিনা তাতে কিছু এসে যায় না কারো কারো। আবার ধরুন,  কাকে ভালবাসছি কাকে বাসতাম বা বাসব এসবও মুখ্য নয় কোনো কোনো ক্ষেত্রে।  নীরবে গোপনে একান্তে ভালবাসতে থাকার মধ্যে  প্রশান্তি খুঁজে পায় যারা, অথবা প্রত্যাখ্যানের মধ্যে তৃপ্তি, বিরহকাতরতায় সুখী হয় যারা,  তাদের জন্য এটা বদভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়।  তার সামনে পড়ি আর না পড়ি, ভেতরের প্রতিটা চিন্তা  আর বাইরে চিরুনির প্রত্যেক আঁচড়  কোনো একজনকে ইমপ্রেস করব বলেই না।  আরো আছে। ফেলে রাখা কাজগুলো শেষ করার জন্য অলীক কারো তাগাদা দরকার হয়। প্রিয় গান শোনার সময়  কোনো একটা মুখ মনে আনার দরকার হয়। যে গল্প...

অধিনায়ক

অধ্যায় এক চেখভের বন্দুক: “গল্পের সাথে প্রাসঙ্গিক নয় এমন সমস্তকিছুকে সরিয়ে ফেলুন। যদি প্রথম অধ্যায়ে আপনি উল্লেখ করেন যে, দেয়ালে একটি রাইফেল ঝুলে আছে, তাহলে দ্বিতীয় বা তৃতীয় অধ্যায়ে অবশ্যই তার থেকে গুলি ছুঁড়তে হবে। যদি গুলি-ই না করা হয়, তাহলে সেখানে বন্দুক থাকারও কোনো মানে হয় না।” আনোয়ারের নিজের পক্ষেও শুরুর এক-দুই লাইন পড়ে বোঝা সম্ভব না সামনে কী আসতে চলেছে। সে কবজি সামান্য উঁচু করে কৌশলে হাতঘড়িটা দেখে নিল: এগারটা বেজে একত্রিশ মিনিট। আড়াইটার আগে ওদের টিমকে মিন্টো রোডে রিপোর্ট করতে হবে। ভদ্রলোক ওদেরকে সামনের সোফাটা দেখিয়ে বললেন, বসো তোমরা। ‘থ্যাংক ইউ স্যার।’ হুইলচেয়ারটার দিকে আরেকবার দৃষ্টি দিয়ে আনোয়ার বসে। জাহিদও বসে  পাশেই। ভদ্রলোকের সোফার পাশেই হুইল চেয়ার রাখা। অথচ ওনার পা দুটো দিব্যি অক্ষত। সম্ভবত স্ট্রোক। স্ট্রোকই হবে। দুই পা ভালভাবে খেয়াল করলে বোঝা যায়। নিথর পড়ে আছে যেন। শরীরের সাথে জোড়া, অথচ শরীরের অংশ নয়। জমশেদ ইসলাম। সাবেক অর্থ উপদেষ্টা। ফাইলটা দ্রুত মনে করার চেষ্টা করে আনোয়ার। উপদেষ্টা থাকাকালীন ভদ্রলোক হুইল চেয়ার ব্যবহার করতেন না নিশ্চয়। ‘ইন্সপেক্টর,...

'অধিনায়ক' পিডিএফ ডাউনলোড করুন

'অধিনায়ক'  উপন্যাসের পিডিএফ বিনামূল্যে ডাউনলোড করুন বিক্রমাদিত্যর সর্বশেষ উপন্যাস 'অধিনায়ক' পাওয়া যাচ্ছে এখানে ।  Download 'Adhinayok' novel in PDF free 'Adhinayok' the latest novel by Bikromaditto is available here .

ভিখারি ও কুকুর

‘আম্মু দেখো দেখো-’  প্রতিদিন এই এক কাহিনী করে মেয়েটা স্কুলে লেট করে। আর আমারও অফিস যেতে দেরি হয়। গলির এক কুকুর পাঁচখানা বাচ্চা দিয়েছে। বাসায় যেতে আসতে আমার মেয়ে বিগলিত হয়ে ওঠে ওদের দেখে। পারলে আমার হাত ছাড়িয়ে ছুটে গিয়ে ছানাগুলোকে আদর করত। কুকুর বিড়ালে এমনিতে আমার এলার্জি। আর রাস্তার কুকুর তো দেখলেই ঘেন্না লাগে। মেয়ে হয়েছে উল্টোটা। আঁচড় দিবে, কামড় দিবে - এর কোনোটা বলেই ওকে ভয় দেখাতে পারিনা। গায়ে হাত দিতে নিষেধ করেছি বলে রোজই যেতে যেতে বায়না ধরে, ‘ওদেরকে চিপস দেই? চকলেট দেই?’ ‘ওরা চিপস খায় না। তাড়াতাড়ি হাঁটো।’ ‘ওদেরকে কে খেতে দেয়?’ ‘দেয় কেউ একজন। নাহলে বাঁচে কী খেয়ে? এই রিকশা এই-’   সেদিন পুরো রাস্তা জ্যামের মধ্যে বসে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জেনে নিয়েছে কুকুর কী খায় আর কী খায় না। জিজ্ঞাসাবাদে অতিষ্ঠ হয়ে দুই-একবার চরম অসত্য ও অবাস্তব তথ্যও দিয়ে ফেলেছি মেয়েকে। বাড়ি ফিরে দুপুরে খাবার সময় বলল, ‘মামণি, বাবুগুলোকে (কুকুরশাবক) ভাত দিয়ে আসি? আমি কাছেও যাব না। তুমি বুয়াকে বলো দিয়ে আসতে। আমি শুধু দূর থেকে দেখব। আচ্ছা?’ প্রথমে স্পষ্ট অসম্মতি জানালাম। তারপর মেয়ে প্যান প্যান শুরু করলে শর্ত স...

সাহিত্যে স্থায়িত্বের তাৎপর্য

“বর্তমানের কবি আমি ভাই ভবিষ্যতের নই ‘নবি’... ...পরোয়া করি না, বাঁচি বা না বাঁচি যুগের হুজুগ কেটে গেলে।” – আমার কৈফিয়ত/কাজী নজরুল ইসলাম সাহিত্যের ভাষাশৈলী, গঠন, পটভূমি প্রভৃতি কতিপয় বৈশিষ্ট্য সাহিত্যিকের উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল। অপরদিকে, সাহিত্যের পাঠকপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা এবং সে সংক্রান্ত আলোচনা, সমালোচনা এ সবকিছুই খোদ সাহিত্যিকের এক্তিয়ার-নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এরকমই এক বৈশিষ্ট্য সাহিত্যের স্থায়িত্বগুণ। অর্থাৎ কোনো সাহিত্যকর্ম কতদিন বেঁচে থাকবে না থাকবে তা সাহিত্যিকের প্রত্যক্ষ প্রভাবমুক্ত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যের কালোত্তরণের বিষয়টিকে ব্যাপক প্রাধান্য দিতেন বলে দেখা যায়। প্রসঙ্গত, ‘ষোড়শী’র নাট্যরূপ নিয়ে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে লিখিত ব্যক্তিগত চিঠিতে কবির অভিমত উল্লেখ্য, “...সৃষ্টিকর্তারূপে তোমার কর্তব্য ছিল, এই ভৈরবীকে একান্ত সত্য করা, লোকরঞ্জনকর আধুনিককালের চলতি ‘সেন্টিমেন্ট’ মিশ্রিত কাহিনী রচনা করা নয়। সাহিত্যে তুমি বড় সাধক, ইন্দ্রদেব এখন যদি সামান্য প্রলোভনে তোমার তপোভঙ্গ করেন তাহলে লোকসান সাহিত্যের। তুমি উপস্থিত কালের কাছ থেকে দাম আদায় করে খুশি থাকতে পারো – কিন্তু ...

মিডিয়া সাক্ষরতা : আদিপর্ব

মিডিয়া সাক্ষরতা ও এ সংক্রান্ত যাবতীয় জিজ্ঞাসা - মিডিয়া নিজে যতটা প্রাচীন তার চেয়ে কম পুরনো নয়। বর্তমানে তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির সহজলভ্যতা মিডিয়া সাক্ষরতাকে অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে সত্য। কিন্তু মিডিয়ার প্রভাব ও মিডিয়া সাক্ষরতার গুরুত্ব নিয়ে নানা প্রশ্ন অনেক অনেক আগে থেকেই আলোচিত হয়ে এসেছে। এটাও লক্ষণীয় যে মিডিয়ার পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন বিতর্ক একইসাথে নবাগত প্রযুক্তি, শিল্প (আর্ট ও ইন্ডাস্ট্রি উভয় অর্থে), এমনকি সংস্কৃতির গতিপথকে সময় সময় প্রভাবিত করে এসেছে। তবে ১৯৬০ এর দশক পর্যন্ত পরিভাষা বা গবেষণাক্ষেত্র হিসাবে এর অস্তিত্ব ছিল না। যতদিন না বিষয়টি যোগাযোগ স্কলার ও মিডিয়া প্রফেশনালদের কাজের ক্ষেত্র হয়ে ওঠে তার আগ পর্যন্ত (কিংবা এখনো কিছুসময়) যোগাযোগ সংশ্লিষ্ট ভাবনাসমূহ পরিচালিত হয়/হয়েছে তাত্ত্বিক, দার্শনিক, সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী ও ভাষাতত্ত্ববিদদের দ্বারা। এ যাবৎ মিডিয়া সাক্ষরতা নিয়ে যত তত্ত্বীয় চিন্তা হয়েছে তাতে --- প্লেটো থেকে ফ্রয়েড, সসার (১) থেকে সিক্সাস (২) --- প্রত্যেকেরই রয়েছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। উৎপত্তি ও সংজ্ঞা এই তথ্য মোটেও অভিন...