এক সময় এটা বদভ্যাসের মতো হয়ে যায়।
তাই কাউকে না কাউকে ভালবাসতেই হয়।
তীব্রভাবে কাউকে চাইতে পারা,
কোনো একজনের উদ্দেশ্যে মনপ্রাণ সঁপে দেওয়া,
এটা এক রকমের আসক্তি।
আরো কিছু সময় বেশি বাঁচার একটা প্রলোভন,
কিংবা ধরুন
পিনোকিওর ঝিঁঝিঁপোকার ভূমিকায়
কোনো একজনকে দরকার বলে,
কাউকে না কাউকে ভালবাসতেই হয়।
যাকে ভালবাসছি
সেও আমায় বাসছে কিনা
কখনো বাসবে কিনা
কখনো জানবে কিনা
তাতে কিছু এসে যায় না কারো কারো।
আবার ধরুন,
কাকে ভালবাসছি
কাকে বাসতাম বা বাসব
এসবও মুখ্য নয় কোনো কোনো ক্ষেত্রে।
নীরবে গোপনে একান্তে ভালবাসতে থাকার মধ্যে
প্রশান্তি খুঁজে পায় যারা,
অথবা প্রত্যাখ্যানের মধ্যে তৃপ্তি,
বিরহকাতরতায় সুখী হয় যারা,
তাদের জন্য এটা বদভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়।
তার সামনে পড়ি আর না পড়ি,
ভেতরের প্রতিটা চিন্তা
আর বাইরে চিরুনির প্রত্যেক আঁচড়
কোনো একজনকে ইমপ্রেস করব বলেই না।
আরো আছে।
ফেলে রাখা কাজগুলো শেষ করার জন্য
অলীক কারো তাগাদা দরকার হয়।
প্রিয় গান শোনার সময়
কোনো একটা মুখ মনে আনার দরকার হয়।
যে গল্পটা ভাল লাগে সেই গল্পটা,
পুরো গল্প না হলেও দু'-চার লাইন,
কোনো একজনকে পড়ানর উদ্দেশ্যে দাগিয়ে রাখি,
রাখি না?
'চিরদিন কেন পাই না' - বলে চেপে রাখি
কিছু নিরাকার মিষ্টি যন্ত্রণা।
কিছু ভাবনা ফেলে দিলেও হয়
অথচ ফেলতে পারি না কিছুতেই একসময়।
তাদের মিছেমিছি নিয়ে নৈবেদ্যর মতো করে
বয়ে চলার জন্যও একজন উপলক্ষ তো দরকার।
সেই সাথে দাঁত মাজতে মাজতে হঠাৎ মনে আসা
হাজারটা কথা মনের ভেতর জমিয়ে,
কোনো একজনকে একদিন নিভৃতে বলব বলে উসখুস
করে অহেতুক ঘুরে বেড়ানটাই মুদ্রাদোষ হয়ে যায়।
এর কোনো মানে হয় না।
আগেই বলেছি, এটা একটা আসক্তি।
তাই জীবনে এক সময়
কাউকেই ভাল না বেসে থাকা যায় না বলে,
কাউকে না কাউকে ভালবাসতেই হয়।
হাজারটা কথা মনের ভেতর জমিয়ে,
উত্তরমুছুনকোনো একজনকে একদিন নিভৃতে বলব বলে উসখুস
করে অহেতুক ঘুরে বেড়ানটাই মুদ্রাদোষ হয়ে যায়।
এর কোনো মানে হয় না।