সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আমার বাসা

নাটোরের বাসায় আমার তোলা কিছু ছবি  মাধ্যম : SONY DSC-H90

ইফরিত

মোহাম্মদপুরের এক ভীষণ ব্যস্ত সড়কের পাশে আমাদের দুই বেড-ড্রয়িং-ডাইনিং এর ভাড়া বাসা। বাসাটা যখন নেয়া হয় তখন আমি তিন মাসের প্রেগন্যান্ট। এই এলাকায় ভাড়া তুলনামূলক বেশি। কিন্তু সদ্য তোলা বাড়ি আর তমালের অফিসও কাছেই হয় তাই ভাবলাম - এই ভালো। বাসায় উঠে গোছগাছ তখনো সারিনি। এক মাস গেছে কি যায়নি তখন থেকে সমস্যাটার শুরু। তমাল অফিস করে ফিরতে রাত নয়টা দশটা বাজত। খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়তেও সময় নিত না। আমি কোনদিন ওর সাথে শুয়ে পড়তাম, কোনদিন গল্পের বই পড়তাম অথবা ডায়েরি লিখতাম। এক রাতে টেবিল ল্যাম্প জ্বেলে কিছু একটা পড়ছি হঠাৎ দরজায় টোকা দেয়ার মতো আওয়াজ পেলাম। আমার কান খুব খাড়া। আওয়াজটা বাইরের ঘর থেকে এসেছে বুঝতে অসুবিধা হয় না। রাত্রি একটার সময় কে বড় দরজায় টোকা দিবে? পড়ায় মন ফিরিয়েছি মিনিটও হয়নি আবার... নক নক। খুব স্পষ্ট আওয়াজ। ভাবলাম সত্যিই বুঝি কেউ এসেছে। রাত হয়েছে বলে কলিং বেল টিপছে না। উঠে গিয়ে দরজার ফুটোয় চোখ রাখলাম। সারারাত বাহিরের আলো জ্বলত। কাউকে দেখলাম না। ঘরে ফিরে আসার কিছক্ষণের মধ্যেই আবার... নক নক। এবার আর দেখতে গেলাম না। দরকার হয় বেল বাজাবে। শীত করছিল। আলো নিভিয়ে তমালকে জড়িয়ে শুয়ে পড়ল...

আমার লেখা বই

আমার সর্বশেষ বই বাংলায় শিখি ফরাসি ভাষা শাখা: ভাষাশিক্ষা প্রকাশকাল: ২০২৪ প্রচ্ছদ:  বইটি পড়ুন আমার পঞ্চম বই চিত্রনাট্যচিত্রণ: কাহিনি ও চিত্রনাট্য লেখার কলাকৌশল শাখা: চিত্রনাট্য প্রকাশকাল: ২০২৪ প্রচ্ছদ: পার্থপ্রতিম দাস বইটি পড়ুন আমার সর্বশেষ উপন্যাস অধিনায়ক শাখা: উপন্যাস প্রকাশকাল: ২০২০ প্রচ্ছদ: রাজীব দত্ত বইটি পড়ুন আমার প্রথম উপন্যাস রঙবাহার শাখা: উপন্যাস প্রকাশকাল: ২০১৫ প্রচ্ছদ: তৌহিন হাসান বইটি পড়ুন আমার দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ অপরূপকথা শাখা: গল্প সঙ্কলন প্রকাশকাল: ২০১৩ প্রচ্ছদ: তৌহিন হাসান বইটি পড়ুন আমার প্রথম গল্পগ্রন্থ ভূতলোজি কিংবা চিত্তশুদ্ধি শাখা: গল্প সঙ্কলন প্রকাশকাল: ২০১২ প্রচ্ছদ: বিক্রমাদিত্য বইটি সম্পর্কে জানুন My books on Goodreads রঙবাহার (avg rating 5.00) অপরূপকথা (avg rating 5.00) অধিনায়ক ভূতলোজি কিংবা চিত্তশুদ্ধি বাংলায় শিখি ফরাসি ভাষা

48 LAWS OF POWER by Robert Greene and Joost Elffers

Vladimir Putin The definition of power in 21st century

বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি : প্রাচীন অর্বাচীন তর্ক

এই লেখাটা ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয় যোসেফাইট কালচারাল ফোরামের বার্ষিক ক্রোড়পত্র ত্রিলয়-এ। আমি তখন সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্র প্রাচীন -  ওই অর্বাচীনদের আমি শতবার সতর্ক করেছি, আর যা-ই করো, আত্মপরিচয় কখনো হারাবে না। স্পষ্টই দেখতে পাচ্ছি এদের সামনে যেন ঘোর অন্ধকার। নিজেদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সবকিছু ভুলে গিয়ে এরা আজ পাশ্চাত্যের অনুকরণে ব্যস্ত। নিজের চশমার 'স্টাইল'টা যতই বাজে হোক না কেন ওটা পরেই তুমি স্বচ্ছ দেখবে। তা না করে যদি অন্যের চশমা চোখে দাও, তোমাকে মানাবে হয়তো ভালো কিন্তু হোঁচট খেতে হবে পদে পদে। অর্বাচীন - তোমার কথায় কেমন যেন ছাপাখানার গন্ধ। তোমার বয়স হয়েছে। তাই চোখে সমস্যা। চোখের পাতা বন্ধ করে তুমি অতীতটাকে সোনালি রঙের মনে করো। আর চোখ মেলে ভবিষ্যৎ দেখতে গেলেই তোমার মনে হয় সেটা বুঝি অন্ধকার। অর্বাচীনদের যতই গালি দাও।পশ্চিমা চিকিৎসার সাহায্য নিয়েই দেখো না চোখটা ভালো হয় কি না। প্রাচীন - বাবা! আজকালকার ছেলেমেয়েরা এক কথার পিঠে একশ কথাকে চাপায়। আমাদের যুগে বড়রা বলত। ছোটরা শুনত। তার থেকেই শিক্ষা নিত। এখনকার ছেলেমেয়দের কথা ...

একটি খসড়া গল্প : শেষ পর্ব

তোমার হৃদয়ে জমা অন্ধকার তোমাকে তাড়া করছে মাইন্ড গেম ... আস্তে আস্তে মাথার কুয়াশা পরিষ্কার হতে লাগল... এই মেঘলাকে মনে মনে কী ভালোটাই না বেসেছি, অথচ এখন, ওর দিকে তাকাতেও ভয় পাচ্ছি। আমি কি কখনো আনন্দের সৃজন করিনি? সুরের জন্ম দেইনি?  সবই কি ভয়ঙ্কর, সবই কি অসুর? 'তোমার দুর্ভাগ্য - মেঘলা কোলের বিড়ালটাকে নামিয়ে রাখল, কালো দিকটাই তোমকে তাড়া করছে। তোমার হৃদয়ে জমে থাকা অন্ধকারও এর জন্য দায়ী।' 'অন্ধকার! আমার হৃদয়ে!' 'হ্যা অন্ধকার। তুমি অহংকারী, দুর্বল আর স্বেচ্ছাচারী। ওই ট্রাকের তলে চাপা পড়া লোকটাকে দেখ। কিংবা ওইদিকে যে বুড়ো লোকটা কেনার জন্য লাশ খুঁজছে। এদের বেহাল দশার জন্য তুমিই তো দায়ী।' 'তুমি এভাবে বলতে পারো না - উত্তেজিত হয়ে বললাম, লেখক কেবল নিয়তিকেই অনুসরণ করে। নিয়তি যাকে যে পথে চালায় আমরা সেটাই মলাটবন্দী করি।' মেঘলা হাসল, এসব কোথা থেকে শুনেছ? নাকি বানিয়েছ নিজে নিজে? আমার কী ধারণা জানো? তুমি আসলে দুর্বল আর অসহায় একটা বাচ্চা। সত্যিকার জগতে তুমি ক্ষমতাহীন। কিন্তু যেতাকে তুমি নিজের জগৎ বলে দাবি করছ সেখানে আচ্ছামত ক্ষমতার প্র...

একটি খসড়া গল্প : প্রথম পর্ব

কয়তলায় যাবেন? আমার নাম মেঘলা ...অজান্তেই বাস্তবের মানুষগুলো লেখার ভেতরে ঢুকে পড়ে... এমন সময় কলিং বেল বাজল। একটানা অনেকক্ষণ। আমার তখন পাগলপ্রায় অবস্থা। চিন্তার মধ্যে হারিয়ে গিয়েছিলাম। একা বাসায় একটা খ্যাপা গল্প নিয়ে কাজ করছিলাম। তখনি কেউ বেল বাজাল। নাহলে হয়তো আমার পাগল হওয়া আর ঠেকান যেত না। টেবিল ছেড়ে গিয়ে দরজা খুলে বাইরে উঁকি দিলাম। একটা মেয়ে। মেয়ে কি মহিলা তা বলা শক্ত। দেখে তো পরিচিত বলেই মনে হলো। কোথায় দেখেছি এই মুহুর্তে মনে করতে পারলাম না। আমার মায়ের কোনো ছাত্রী? 'কয়তলায় যাবেন?' দরজাটা সামান্য একটু ফাঁক করেছি। শরীর দরজার আড়ালে। কেননা আমার পরনে কেবল একটা হাফ প্যান্ট। মেয়েটা একটু ইততস্ত করে বলল, এটা কি বিক্রমাদিত্যর বাসা? দরজা পুরো না খুলেই উপরে নিচে মাথা নাড়লাম।  'উনি কি আছেন?' আমাকে কেন চাইছে মেয়েটা বুঝতে পারলাম না। চেহারটা এখনো মেলাতে পারছিনা। তবে দরজা পুরোপুরি খুলে আত্মপ্রকাশ করলাম। জানালাম আমিই সেই অধম - ভেতরে আসুন, প্লিজ। 'ইয়ে তুমি... আপনি বিক্রমাদিত্য?' মেয়েটা আমার ওপর দৃষ্টি স্থির রেখে ঘরে ঢুকল। আধা ন্যাংটো অবস্থায় আমাকে দেখ...