এই লেখাটা ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয় যোসেফাইট কালচারাল ফোরামের বার্ষিক ক্রোড়পত্র ত্রিলয়-এ। আমি তখন সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্র
অর্বাচীন - তোমার কথায় কেমন যেন ছাপাখানার গন্ধ। তোমার বয়স হয়েছে। তাই চোখে সমস্যা। চোখের পাতা বন্ধ করে তুমি অতীতটাকে সোনালি রঙের মনে করো। আর চোখ মেলে ভবিষ্যৎ দেখতে গেলেই তোমার মনে হয় সেটা বুঝি অন্ধকার। অর্বাচীনদের যতই গালি দাও।পশ্চিমা চিকিৎসার সাহায্য নিয়েই দেখো না চোখটা ভালো হয় কি না।
প্রাচীন - বাবা! আজকালকার ছেলেমেয়েরা এক কথার পিঠে একশ কথাকে চাপায়। আমাদের যুগে বড়রা বলত। ছোটরা শুনত। তার থেকেই শিক্ষা নিত। এখনকার ছেলেমেয়দের কথা বেশি, কাজ কম। তাও কথার এমন শ্রী, না বাংলা না ইংরেজি শুনলেই কান্না পায়। বাংলা আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ভাষা। গত দশ পনের বছরে তোমরা এই ভাষাটার যা হাল বানিয়েছ...
অর্বাচীন - ভাষা ভাব প্রকাশের মাধ্যম। মুখে মুখে সে বদলে যায়শুনেছি। মানলাম বাংলা ভাষার হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে, তাই বলে কি আমরা সেই হাজার বছরের প্রাচীন রূপটিকেই ধরে রাখব? কথ্য ভাষার পরিবর্তন আসবেই। তাকে কেউ থামাতে পারবে না। ঠিক যেমন মানুষ শৈশব থেকে কৈশোর, যৌবন থেকে বার্ধক্যের দিকে এগোয়। এই এগিয়ে চলাকে, এই বিবর্তনকে থামিয়ে দেয়ার একটাই উপায় - শ্বাসরোধে হত্যা। সংস্কৃত ভাষা দেখো, আজও অপরিবর্তিত। কিন্তু সে যে মৃত ভাষা। তোমার প্রাচীন বইয়েই তো আছে, যে নদী হারায়ে স্রোত, চলিতে না পারে, সহস্র শৈবাল দাম বাঁধে আসি তারে।
প্রাচীন - আর একটা কথা আছে আমাদের বইয়ে, অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী। আমি কখনোই বলব না যে ভাষা অপরিবর্তনীয়। পরিবর্তন আসবে অবশ্যই। আমি ইঙ্গিত করছি বাংলার সাথে ইংরেজির জগাখিচুড়ি প্রয়োগের দিকে। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত যেতে দশকের পর দশক কেটে যায়। কিন্তু তোমরা যে এক আছাড়েই এত বড় পরিবর্তন ঘটিয়ে দিচ্ছ!
অর্বাচীন - ইংরেজির প্রতি এত আক্রোশ কেন? বিদেশি ভাষা বলে? তবে তো বাংলা থেকে সমস্ত বিদেশি ভাষাই মুছে ফেলা উচিৎ। পর্তুগীজ, হিন্দি, আরবি, উর্দু, ফারসি সব। ভুলে যেও না যুগে যুগে যাদেরই সংস্পর্শে এসেছে বাংলা তার দ্বারাই প্রভাবিত হয়েছে। সংস্কৃত বা বৈদিক ভাষাও যে আমাদের নিজেদের ভাষা নয় না তো তোমার অজানা নয়। তোমার মতে চলতে গেলে কোল আর মুণ্ডাদের ভাষাই আমাদের ঐতিহ্যবাহী ভাষা হবে।
প্রাচীন - যাক, আজকাল স্কুল-কলেজে আর কিছু না শেখালেও কুতর্কটা ভালোই শেখায়। এককালে, আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রচলন ঘটিয়েছিল সেকালের দুরাত্মারা। তার প্রতিবাদে আমরা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছি। আর আজ যখন চোখের সামনে দেখতে পাই আমাদেরই ছেলেমেয়েরা ইংরেজি হরফে বাংলা লিখছে তখন বুকের কোথায় হাহাকার ওঠে। কিন্তু করার কিছুই নাই! মুখে বলা ছাড়া। আমাদেরই তো ছেলেমেয়ে তোমরা।
অর্বাচীন - কথাটা ভালোই বলেছ। যদিও এটাকে যুক্তি হিসাবে নেয়া যাচ্ছেনা। পুরোটাই তো আবেগে জড়ানো দেখছি।
প্রাচীন - বটে, আমাদের আবেগটাই বেশি। আর তোমরা হলে আধুনিক তোমাদের আবেগ নাই। অ্যাপলের আইফোন ৬ এর সাথে তোমাদের পার্থক্য হলো আইফোন শুধু শুধু অক্সিজেন অপচয় করে না। নিজেদের ঐতিহ্য নিয়ে তোমরা লজ্জিত। প্যান্ট না পরে লুঙ্গি পরাটা তোমাদের জন্য ভীষণ অসম্মানজনক। পাছে ধরা পড়ে যায় যে তোমাদের চৌদ্দ পুরুষ চাষা ছিল। আর এই লুঙ্গি পরেই তারা মাটি কুপিয়েছে!
অর্বাচীন - থামো থামো বাপ-দাদার পোশাকই বুঝি আদর্শ পোশাক?
প্রাচীন - হ্যাঁ, কারণ ওতেই তোমার স্বাতন্ত্র্য বজায় থাকবে। দেশি পোশাক প্রমাণ করে যে তুমি বাঙালি। আমেরিকান নও। শাড়িতে-লুঙ্গিতে তোমার পরিচয় জড়িয়ে আছে। তোমার ঐতিহ্য মিশে আছে।
অর্বাচীন - তোমার কথায় মনে হয় যা কিছু প্রাচীন তাই বুঝি মহৎ। ঐতিহ্য অনুসরণ করাটাই আমাদের কর্তব্য। তাহলে তোমাকে মনে করিয়ে দেই যে, লুঙ্গিও আমাদের ঐতিহ্য নয়। এটা বার্মার পোশাক। প্রাচীন ঐতিহ্য অনুসরণের যদি শখ হয় তাহলে আমাদের উচিৎ গাছের বাকল কিংবা পাতা জড়িয়ে ঘুরে বেড়ানো। আফ্রিকার পিগমিরা কিংবা আন্দামানের জারোয়ারা যেভাবে নিজেদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। ওরা গাছে গাছে লাফিয়ে বেড়ায় আর তীর ধনুক দিয়ে শিকার করে। ওদের জ্ঞান-বিজ্ঞান, চিন্তাধারার এতটুকু উন্নতি হয় নাই। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে ওরা কেবল টিকেই আছে। তবু ওরা নিজেদের সংস্কৃতি নিয়ে এতটা গর্ব করে না যতটা আমরা করি। বাঙালি পোশাক, বাঙালি আচার, বাঙালি হ্যান, বাঙালি ত্যান। এভাবে চলতে থাকলে একসময় সারা বিশ্ব থাকবে একদিকে আর বাঙালি রয়ে যাবে আরেকদিকে। বিশ্বায়নের যুগে সবাই যখন এক হচ্ছে আমরা তখন প্রাণপণে পৃথক হচ্ছি। বিশ্বসঙ্গীত যেন প্রবেশ না করে সেজন্য নিজেদের তো বটে তরুণদের কানেও আঙুল ঢুকাচ্ছি। আর তারস্বরে রবীন্দ্র সঙ্গীত চর্চা করছি।
প্রাচীন - কেন করব না? ওটাই তো আমাদের নিজস্ব। বাঘের মুখে হাম্বা ডাক কেমন শোনায় একটু ভাবো তো। বিশ্বায়নের কথা শুনছি অর্বাচীনদের মুখে। উৎকৃষ্ট সালাদ তৈরির জন্য কেবলমাত্র টমেটো নয়, শসা, গাজর এমনকি মুলারও প্রয়োজনীয়তা আছে। মানব জাতির এই যে বৈচিত্র্য, এটাই সমগ্র জাতিকে সমৃদ্ধ করেছে। সকলে এক হয়েও প্রত্যেকে স্বতন্ত্র হতে পারে। জাপানিরা বরাবরই ঐতিহ্য সচেতন। জাপানি সংস্কৃতি বিশ্বব্যাপী পরিচিত। অথচ তা তাদের উন্নয়নের পথে বাধা হয় নাই। এদিকে ইংরেজ জাতি যে আমাদের ওপর প্রভুত্ব করে গেছে তার চিহ্ন আমরা এখনো বয়ে বেড়াই কোট-টাই চাপিয়ে। ওরে মুর্খ! আমরা যেদিন স্বতন্ত্র হব, যেদিন বিশ্বে আমাদের আধিপত্য বিস্তার করব সেদিন বিশ্বই আমাদের অনুকরণ করবে। ইংরেজিকে তোমরা বলো আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যম। তাহলে বাংলা কেন নয়? তিরিশ কোটি বাংলা ভাষী যেদিন সংকোচ কাটিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াবে সেদিন বিশ্বই আমাদের সংস্কৃতি থেকে শিক্ষা নিবে।
অর্বাচীন - হে প্রাচীন, তোমার বক্তৃতা শুনলে হাসি পায়, বাঙালি সংস্কৃতি কাকে বলছ তুমি? রামচন্দ্র রামের সংস্কৃতি, বখতিয়ার খিলজি খিলজির সংস্কৃতি আর রবার্ট ক্লাইভ ক্লাইভের সংস্কৃতি নিয়ে এদেশে ঢুকেছে। আমাদের নিজস্বতা বলে আছে কিছু? বাঙালির গৌরব যদি কোনখানে থাকে তো সে হলো বাঙালি সংকর জাতি, পাঞ্জাবের পাঞ্জাবি, বার্মার লুঙ্গি আর ইংরেজের কোট প্যান্ট সবই আমাদের নিজস্ব। সব সংস্কৃতিই আমরা নিজেদের মধ্যে ধারণ করতের পারি। অতীতেও করেছি। এখনো করছি।
প্রাচীন - তোমার কথা অস্বীকার করব না। মানব সংস্কৃতির যা কিছু ভালো বাঙালি তা গ্রহণ করুক। কিন্তু অন্ধ অনুকরণ যেন না হয়। মিশ্র সংস্কৃতি আর অপসংস্কৃতি এক নয়। তরুণদের সেই বিবেচনা যেন থাকে, কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ। হাঁসজারুতে পরিণত হওয়া খুব একটা সুখকর নয়। সেক্ষেত্রে না হাঁসের দলে ভিড়তে পারবে, না সজারুর দলে।
অর্বাচীন - এই বিবেচনা বোধ যেন তরুণদের থাকে সেজন্যই তোমাদের আশীর্বাদ প্রয়োজন। আদম অর্বাচীন হলেও তাঁকে স্বীকার করা, তাকে মর্যাদা দেওয়াই ইবলিশের কর্তব্য ছিল। যে নবীন, তাঁকে পছন্দ নাও হতে পারে কিন্তু তাকে সেজদা করতে সে বাধ্য।
প্রাচীন - যাক, আজকাল স্কুল-কলেজে আর কিছু না শেখালেও কুতর্কটা ভালোই শেখায়। এককালে, আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রচলন ঘটিয়েছিল সেকালের দুরাত্মারা। তার প্রতিবাদে আমরা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছি। আর আজ যখন চোখের সামনে দেখতে পাই আমাদেরই ছেলেমেয়েরা ইংরেজি হরফে বাংলা লিখছে তখন বুকের কোথায় হাহাকার ওঠে। কিন্তু করার কিছুই নাই! মুখে বলা ছাড়া। আমাদেরই তো ছেলেমেয়ে তোমরা।
অর্বাচীন - কথাটা ভালোই বলেছ। যদিও এটাকে যুক্তি হিসাবে নেয়া যাচ্ছেনা। পুরোটাই তো আবেগে জড়ানো দেখছি।
প্রাচীন - বটে, আমাদের আবেগটাই বেশি। আর তোমরা হলে আধুনিক তোমাদের আবেগ নাই। অ্যাপলের আইফোন ৬ এর সাথে তোমাদের পার্থক্য হলো আইফোন শুধু শুধু অক্সিজেন অপচয় করে না। নিজেদের ঐতিহ্য নিয়ে তোমরা লজ্জিত। প্যান্ট না পরে লুঙ্গি পরাটা তোমাদের জন্য ভীষণ অসম্মানজনক। পাছে ধরা পড়ে যায় যে তোমাদের চৌদ্দ পুরুষ চাষা ছিল। আর এই লুঙ্গি পরেই তারা মাটি কুপিয়েছে!
অর্বাচীন - থামো থামো বাপ-দাদার পোশাকই বুঝি আদর্শ পোশাক?
প্রাচীন - হ্যাঁ, কারণ ওতেই তোমার স্বাতন্ত্র্য বজায় থাকবে। দেশি পোশাক প্রমাণ করে যে তুমি বাঙালি। আমেরিকান নও। শাড়িতে-লুঙ্গিতে তোমার পরিচয় জড়িয়ে আছে। তোমার ঐতিহ্য মিশে আছে।
অর্বাচীন - তোমার কথায় মনে হয় যা কিছু প্রাচীন তাই বুঝি মহৎ। ঐতিহ্য অনুসরণ করাটাই আমাদের কর্তব্য। তাহলে তোমাকে মনে করিয়ে দেই যে, লুঙ্গিও আমাদের ঐতিহ্য নয়। এটা বার্মার পোশাক। প্রাচীন ঐতিহ্য অনুসরণের যদি শখ হয় তাহলে আমাদের উচিৎ গাছের বাকল কিংবা পাতা জড়িয়ে ঘুরে বেড়ানো। আফ্রিকার পিগমিরা কিংবা আন্দামানের জারোয়ারা যেভাবে নিজেদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। ওরা গাছে গাছে লাফিয়ে বেড়ায় আর তীর ধনুক দিয়ে শিকার করে। ওদের জ্ঞান-বিজ্ঞান, চিন্তাধারার এতটুকু উন্নতি হয় নাই। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে ওরা কেবল টিকেই আছে। তবু ওরা নিজেদের সংস্কৃতি নিয়ে এতটা গর্ব করে না যতটা আমরা করি। বাঙালি পোশাক, বাঙালি আচার, বাঙালি হ্যান, বাঙালি ত্যান। এভাবে চলতে থাকলে একসময় সারা বিশ্ব থাকবে একদিকে আর বাঙালি রয়ে যাবে আরেকদিকে। বিশ্বায়নের যুগে সবাই যখন এক হচ্ছে আমরা তখন প্রাণপণে পৃথক হচ্ছি। বিশ্বসঙ্গীত যেন প্রবেশ না করে সেজন্য নিজেদের তো বটে তরুণদের কানেও আঙুল ঢুকাচ্ছি। আর তারস্বরে রবীন্দ্র সঙ্গীত চর্চা করছি।
প্রাচীন - কেন করব না? ওটাই তো আমাদের নিজস্ব। বাঘের মুখে হাম্বা ডাক কেমন শোনায় একটু ভাবো তো। বিশ্বায়নের কথা শুনছি অর্বাচীনদের মুখে। উৎকৃষ্ট সালাদ তৈরির জন্য কেবলমাত্র টমেটো নয়, শসা, গাজর এমনকি মুলারও প্রয়োজনীয়তা আছে। মানব জাতির এই যে বৈচিত্র্য, এটাই সমগ্র জাতিকে সমৃদ্ধ করেছে। সকলে এক হয়েও প্রত্যেকে স্বতন্ত্র হতে পারে। জাপানিরা বরাবরই ঐতিহ্য সচেতন। জাপানি সংস্কৃতি বিশ্বব্যাপী পরিচিত। অথচ তা তাদের উন্নয়নের পথে বাধা হয় নাই। এদিকে ইংরেজ জাতি যে আমাদের ওপর প্রভুত্ব করে গেছে তার চিহ্ন আমরা এখনো বয়ে বেড়াই কোট-টাই চাপিয়ে। ওরে মুর্খ! আমরা যেদিন স্বতন্ত্র হব, যেদিন বিশ্বে আমাদের আধিপত্য বিস্তার করব সেদিন বিশ্বই আমাদের অনুকরণ করবে। ইংরেজিকে তোমরা বলো আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যম। তাহলে বাংলা কেন নয়? তিরিশ কোটি বাংলা ভাষী যেদিন সংকোচ কাটিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াবে সেদিন বিশ্বই আমাদের সংস্কৃতি থেকে শিক্ষা নিবে।
অর্বাচীন - হে প্রাচীন, তোমার বক্তৃতা শুনলে হাসি পায়, বাঙালি সংস্কৃতি কাকে বলছ তুমি? রামচন্দ্র রামের সংস্কৃতি, বখতিয়ার খিলজি খিলজির সংস্কৃতি আর রবার্ট ক্লাইভ ক্লাইভের সংস্কৃতি নিয়ে এদেশে ঢুকেছে। আমাদের নিজস্বতা বলে আছে কিছু? বাঙালির গৌরব যদি কোনখানে থাকে তো সে হলো বাঙালি সংকর জাতি, পাঞ্জাবের পাঞ্জাবি, বার্মার লুঙ্গি আর ইংরেজের কোট প্যান্ট সবই আমাদের নিজস্ব। সব সংস্কৃতিই আমরা নিজেদের মধ্যে ধারণ করতের পারি। অতীতেও করেছি। এখনো করছি।
প্রাচীন - তোমার কথা অস্বীকার করব না। মানব সংস্কৃতির যা কিছু ভালো বাঙালি তা গ্রহণ করুক। কিন্তু অন্ধ অনুকরণ যেন না হয়। মিশ্র সংস্কৃতি আর অপসংস্কৃতি এক নয়। তরুণদের সেই বিবেচনা যেন থাকে, কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ। হাঁসজারুতে পরিণত হওয়া খুব একটা সুখকর নয়। সেক্ষেত্রে না হাঁসের দলে ভিড়তে পারবে, না সজারুর দলে।
অর্বাচীন - এই বিবেচনা বোধ যেন তরুণদের থাকে সেজন্যই তোমাদের আশীর্বাদ প্রয়োজন। আদম অর্বাচীন হলেও তাঁকে স্বীকার করা, তাকে মর্যাদা দেওয়াই ইবলিশের কর্তব্য ছিল। যে নবীন, তাঁকে পছন্দ নাও হতে পারে কিন্তু তাকে সেজদা করতে সে বাধ্য।
(প্রাচীন-অর্বাচীন তর্ক চির অসমাপ্ত। এক্ষেত্রে সুস্পষ্ট কোনো পরিসমাপ্তি টেনে কারো পক্ষ অবলম্বন করা অনুচিৎ।)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন