ঋত্বিক ঘটক চলচ্চিত্র ‘সম্পাদনা’ নামক নিবন্ধে একে বলেছেন ছবির ‘সম্রাট’ বলেছেন। একইসাথে বলছেন এটি চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় খুঁটি। আইজেনস্টাইনের ‘দ্বন্দ্ব’ ও পুদোভকিনের ‘সমন্বয়’ প্রাচীন হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এটিই চলচ্চিত্র সম্পাদনার ভিত্তি হয়ে রয়েছে। ঋত্বিকের মতে, ছবি তৈরি করতে গিয়ে যে কয়টি অস্ত্র নির্মাতার হাতে থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র হচ্ছে সম্পাদনা। ‘মন্তাজ’ শীর্ষক অপর এক নিবন্ধে ফিল্মকে বলছেন ‘অত্যন্ত মার্ক্সিস্ট ব্যাপার’। ‘সুবর্ণরেখা’ ছবির সম্পাদনাতেও সেই একই মার্ক্সবাদী থিসিস অ্যান্টিথিসিসের দ্বন্দ্ব সুস্পষ্ট। চিত্রগ্রাহক দিলীপ রঞ্জন মুখার্জী সম্পাদক রমেশ যোশি মুক্তি ১ অক্টোবর ১৯৬৫ দৈর্ঘ্য ১৪৩ মিনিট দেশ ভারত ভাষা বাংলা ধারাবাহিকভাবে যদি বলা হয়, সুবর্ণরেখা শুরু হয় ফেড ইন দ্বারা। এরপর একটি দীর্ঘ শটে শিরোনাম ও কলাকুশলীদের নাম স্ক্রলে দেখানো হয়। পিছনে আবহ সঙ্গীত চলে। পটভূমি বলার জন্য ওই স্ক্রলটিকেই ব্যবহার করা হয় যেমনটা প্রচলন ছিল নির্বাক যুগের ছবিতে। পরবর্তীতেও ছবির অনেক স্থানেই দীর্ঘতর সময়ের ব্যবধান নির্দেশ করে ইন্টারটাইটেলের ব্যবহার দেখতে পাই।...
এখানে প্রেম আর বিপ্লব একই সাথে আসে। একই পথে চুপিসারে পাশাপাশি হাঁটে। এখানে বোধহয় তারা সমার্থক...