শট বিভাজন
ছবির নির্মাতা চিত্রগ্রহণের সুবিধার্থে চিত্রনাট্যকে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর অংশে বিভাজিত করে। এগুলো হলো -
শট বা দৃশ্যাংশ : ক্যামেরা একবার চালু করা থেকে বন্ধ করা পর্যন্ত যেটুকু ধারণ করা হয় সেটাই শট।
সীন বা দৃশ্য : নিরবিচ্ছিন্নভাবে একটি নির্দিষ্ট স্থান, কাল, বা চরিত্রের দৃষ্টিকোণ অপরিবর্তনীয় থাকলে তাকে দৃশ্য বলে।
সিকোয়েন্স বা দৃশ্যপর্যায় : দৃশ্যপর্যায় হলো গল্পের মধ্যে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ অংশ। এর নিজস্ব টান (মূল টান নয় কিন্তু মূলের সাথে কোনভাবে সম্পর্কযুক্ত) থাকে। এর নিজস্ব শুরু, মধ্যভাগ, ও শেষ থাকে।
সীন বা দৃশ্য : নিরবিচ্ছিন্নভাবে একটি নির্দিষ্ট স্থান, কাল, বা চরিত্রের দৃষ্টিকোণ অপরিবর্তনীয় থাকলে তাকে দৃশ্য বলে।
সিকোয়েন্স বা দৃশ্যপর্যায় : দৃশ্যপর্যায় হলো গল্পের মধ্যে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ অংশ। এর নিজস্ব টান (মূল টান নয় কিন্তু মূলের সাথে কোনভাবে সম্পর্কযুক্ত) থাকে। এর নিজস্ব শুরু, মধ্যভাগ, ও শেষ থাকে।
চিত্রনাট্যের বিন্যাসরীতি
প্রকারভেদ
- ট্রিটমেন্ট রীতি
- মধ্য-কলাম রীতি
- পূর্ণ-পৃষ্ঠা রীতি
- দুই-কলাম বা বিভক্ত-পৃষ্ঠা রীতি
চিত্রনাট্যের সঠিক বিন্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান, স্টুডিও, পরিচালক, বা প্রযোজক ত্রুটিপূর্ণভাবে বিন্যস্ত চিত্রনাট্য কখনোই পড়বেন না।
- ফন্ট: ১১ পয়েন্ট
- সংলাপ ও ক্রিয়ার মধ্যে ফাঁকা অংশ (দুই লাইন)
- বাম মার্জিন: ১" - ১.২৫"
- ডান মার্জিন: ১" - ১.২৫"
- সংলাপের জন্য বাম দিক থেকে ফাঁকা: ২"
- সংলাপের জন্য ডান দিক থেকে ফাঁকা: ২"
চিত্রনাট্যের উপাদান
দৃশ্য
চিত্রনাট্য সবসময় দৃশ্যে বিভাজিত থাকে। দৃশ্যকে বলা যেতে পারে নাটকীয় ক্রিয়ার একক যা একটি নিরবিচ্ছিন্ন সময়ে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ঘটে।
দৃশ্য শিরোনাম বা স্লাগ লাইন
সাধারণত ফেড ইনের মতো ট্রানজিশন দিয়ে দৃশ্য শুরু হয়।
- আভ্যন্তরীণ বা বহিঃদৃশ্য, সময় ও স্থান।
- ইংরেজিতে সবগুলো বড় হাতের অক্ষর ব্যবহার করতে হয়।
- যেমন, 1. INT. BED ROOM – MID NIGHT অথবা 2. EXT. UNIVERSITY PARK – DAY
- ভেতরের দৃশ্যের জন্য INT ও বাইরের দৃশ্যের জন্য EXT ব্যবহার হয় যাদের পূর্ণরূপ যথাক্রমে Exterior ও Interior.
- কখনো কখনো উপশিরোনাম বা সাবহেডার ব্যবহার করা হয়।
দৃশ্য নির্দেশনা (ক্রিয়ার বর্ণনা)
- চিত্রনাট্যে যা লেখা থাকে তার বেশিরভাগটাই হলো বর্ণনা।
- গল্পের সৃষ্টি ব্যাখ্যা করতে হবে।
- মুখ্য চরিত্রদের পরিচয় দিতে হবে।
- চরিত্র পরিচিতিতে একটি বিবরণমূলক বাক্যের অতিরিক্ত লেখার প্রয়োজন নাই।
- বর্তমান কাল ব্যবহার করে লিখতে হবে।
- সরল, স্বচ্ছ, ও দৃশ্যগতভাবে মুগ্ধকর বর্ণনা হতে হবে।
- বর্ণনাই গল্প বলে।
- শুধুমাত্র পর্দায় যা দেখানো হবে সেটুকুই লেখা থাকবে। ভালো বর্ণনা প্রদর্শনের জন্য মৌলিক উপাদান সরবরাহ করে।
- চরিত্রের মনের ভাবনা যা পর্দায় দেখানো সম্ভব না এমনকিছু চিত্রনাট্যে থাকবে না।
- চরিত্রের আচরণের পেছনে প্রেরণা ও কারণ তাদের ক্রিয়া, প্রতিক্রিয়া, ও সংলাপের ভেতর দিয়ে প্রকাশ করতে হবে।
- এটি পাঠককে বিমোহিত করার সুযোগ দেয়।
চরিত্রের নাম
- বাংলা চিত্রনাট্যে সংলাপের আগে চরিত্রের নাম মোটা হরফে পাতার কেন্দ্র বরাবর লিখতে হবে।
- এছাড়া বর্ণনায় কোনো চরিত্রের নাম প্রথমবার উল্লেখ করলেও মোটা হরফে লিখতে হবে।
- ইংরেজিতে লিখলে উভয় ক্ষেত্রে বড় হাতের অক্ষরে লেখার নিয়ম।
- চরিত্রের নামের নিচে বন্ধনী চিহ্নের ভেতর লেখা থাকে কীভাবে বা কার উদ্দেশ্যে সে কথা বলছে।
সংলাপ
- একবারে ৫-৬ লাইনের বেশি সংলাপ ব্যবহার না করা ভালো। যদি চরিত্র দীর্ঘ বক্তব্য রাখে তাহলে মাঝখানে বিরতি দিয়ে দর্শনীয় কিছু বিবরণ সংযুক্ত করা যায়।
- যদি সংলাপের দু'টি লাইনের মধ্যে বিরতির প্রয়োজন হয় তবে বাম মার্জিন বরাবর বন্ধনী চিহ্নের ভেতর এভাবে যথাক্রমে (বিরতি) ও (থেমে) লিখে দিতে হয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন